সংসদে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে আইন পাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা

আজকের ভাইরাল রাজনৈতিক খবর: সংসদে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে আইন পাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা

ঢাকা, ১৩ মে ২০২৫ –
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন পাস হয়েছে। আইনটির নাম “বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষা আইন-২০২৫”।

এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টিকে যুগান্তকারী হিসেবে দেখছেন।

---

আইনটির মূল উদ্দেশ্য কী?

এই নতুন আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে:

• AI ব্যবহারের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে

• সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সকল জাতীয় পর্যায়ের বট ও অ্যালগরিদম

• Deepfake ও misinformation রোধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়েছে

• শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে AI ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে

---

বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া

বিরোধী দল জাতীয় সংসদে এই আইন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের মতে, “সরকার এই আইনকে ভিন্নমত দমন ও ইন্টারনেট সেন্সরশিপে ব্যবহার করতে পারে।”

এ নিয়ে #AI_নিয়ন্ত্রণ_না_গণতন্ত্রে নামে একটি হ্যাশট্যাগ X (সাবেক Twitter)-এ ট্রেন্ড করছে।

---

সরকারি দলের বক্তব্য

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, “এই আইন ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে প্রস্তুত করবে। আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় আছি, এবং সুরক্ষা ও সম্ভাবনার ভারসাম্য রক্ষায় এই আইন গুরুত্বপূর্ণ।”

---

সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত বিভক্ত

সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেকেই এই পদক্ষেপকে যুগোপযোগী বলে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ মনে করছেন, এটি ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।

কমেন্টগুলোর মধ্যে দেখা গেছে:

• “এটা তো একদম ব্ল্যাক মিররের মতো!”

• “অবশেষে বাংলাদেশেও টেকভিত্তিক আইন আসছে, ভালো উদ্যোগ।”

• “AI দিয়া রাজনীতি চলবে নাকি এখন?”

---

উপসংহার

এই আইন পাস হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন প্রযুক্তিনির্ভর অধ্যায়ে প্রবেশ করলো। যদিও বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য আছে, তবুও এটা স্পষ্ট যে রাজনীতির ক্ষেত্রেও এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।